ফেসকুব কর্ণার:
করোনায় ১০ ম রোস্টার শেষের পথে। মানে, এই পর্যন্ত ১০০ দিন সরাসরি করোনা আক্রান্তদের জন্য কাজ করেছি।
এই রোস্টার ডিউটির আগে ৪০ দিন টানা মেডিসিন ওয়ার্ডেও কাজ করেছি।
সরকার বাদ দিলাম, হাসপাতাল থেকে কোন সম্মাননা আমরা পাইনি। আমরা কোভিড চিকিৎসার জন্য স্পেশাল পোস্টেড হলেও, মেডিসিন ওয়ার্ডেও কাজ করে যাচ্ছি নিয়মিত।
আমি আমার সৃষ্টিকর্তাকে বলতে পারব, এই Low Resources এ আমার সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করেছি।
WHO প্রটোকল অনুসারে, ১ জন ডাক্তার ১০ জন রোগী দেখবে। এই পেন্ডেমিকে ধরে নিলাম দুই গুণ, অথবা তিন গুণ রোগী বেশি দেখবে!
কিন্তু, নাহ। আমি আমার লেভেলের চেয়ে অনেক বেশি, প্রায় ৫-৬ গুণ বেশি রোগী দেখেছি।
আমরা সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করলে কি হবে,
সরকারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা, এক তৃতীয়াংশ জনবল (ডাক্তার – নার্স – ওয়ার্ডবয় আয়া – চতুর্থ শ্রেণির সংকট) নিয়ে কি আর এই পেন্ডেমিক মোকাবেলা করা যায়???
উপজেলায় প্যারাসিটামল বিলি না করে, সদর হাসপাতাল ও বিভাগীয় হাসপাতালে জনবলের সুষম বন্টন হলে অন্ততপক্ষে কিছুটা ঠেক দেয়া যেত।
কার কথা কে শুনে, উলটা আমাকে শো-কজ করতে বলতে পারে। আমি জনগণের সেবার জন্য প্রস্তুত ডাক্তার সম্প্রদায়ের একজন।
ল্যাবরেটরি ও ইনভেস্টিগেশন চিকিৎসার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাসপাতালের সম্মুখে দালাল-দৌরাত্ম্যে দিশেহারা সাধারণ রোগী।
এই চিত্র সমগ্র বাংলাদেশের।
অন্যান্য দেশের মত, বাংলাদেশে ডাক্তার সংকট আছে, আমি এটা বলবনা। আমি জোর গলায় বলবঃ বাংলাদেশে সিস্টেমের বড় অভাব, সীমিত সম্পদের ম্যাক্সিমাম ব্যবহার না করে, সীমিত সম্পদের উপর উচ্চ চাপ ও অব্যবস্থাপনায় নষ্টের শেষ পথে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
বলতে পারেন, চিকিৎসা তো পাচ্ছে, মানবিক কারণে পাবেই তো। কিন্তু, যেটি পাচ্ছে তা “চিকিৎসা সেবা” নয়। হয়রানি ও জুলুমের স্বীকার মাত্র।

A. H. M. Ataullah (Dr. Ataullah)-এর টাইমলাইন থেকে।